লাল সূর্যটা নাও
হুমায়ুন কবির

সবুজের বুকে লাল সূর্যটা হাতে নিয়ে
নির্বাক দাঁড়িয়ে এক কান্ত পথিক
সম¯Í শরীর ভরে গেছে ব্যর্থতা আর গ্লানির ছাপে।
মনে হয় প্রতিহিংসার আগুন দুচোখে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করতে চায় সব
যেমন রাঙিয়েছিল দুহাত শত্র“র তাজা রক্তে।
প্রশ্নবিদ্ধ মাতৃভূমির কত সুযোগ্য সন্তান
দেখে না অতীত স্বার্থের তাগিদে মাতাল
তবু হয় না বিরত কলংকের কালিমায় করতে স্নান
বজ্রমুষ্টি হাতে ধরে থাকা বস্তুতে উড়ছে পৎ পৎ করে
ছুঁড়ে ফেলে দিবে সূর্যটাকে পুড়িয়ে খাঁটি করে আবার গড়তে
এই মাটিতে যত কুলাঙ্গার সন্তানদের নতুন করবার তরে।
দীপ্ত সুর্যটাকে হাত বাড়িয়ে দিতে কাঁঁদে পথিক
নীরবে নিভৃতে ঘুমোতে চায় কান্ত শরীর
কেউ দেখে নাÑ
অত:পর এভাবেই বিজয়ের সৈনিক...

হুমায়ুন কবির
সভাপতি, কাশীনাথপুর সাহিত্য চক্র
কাশীনাথপুর, পাবনা।

-------------------------------------

সঙ্গদোষ
নূরুল হুদা

হ্যারে অবোধ সুবোধ বালক
জাতি তোদের প্রতিপালক
যারা তোদের প্রতিচালক
...একাত্তরে তারাই বালক।
হলো পঁচাত্তরে সর্বহারা ধূর
শেয়াল পালে হারালো স্ব-সুর।
হুক্কা হুয়া ডাকলো চতুর্দিক
সুবোধেরা ছুটলো দিক-বিদিক!
অন্ধকারে শিয়াল গেছে
জাতি তাই পড়েছে পিছে।
তোরা সঙ্গদোষে আপন ছেড়ে
কাঁদবি শেষে পথে পথে
হ্যারে অবোধ করিস না ভুল
তোদের পিছে আছে রে শূল...

নূরুল হুদা
সাধারণ সম্পাদক, কাশীনাথপুর সাহিত্য চক্র
কাশীনাথপুর, পাবনা।
-------------------------------------

বিরহিনী ফাঁদ
আলাউল হোসেন

কুয়াশা ডানায় মেখে উড়ে যায় শুদ্ধবনের চিল
আহা চিল!
কুয়াশার সবটুকু তুমি নিয়ে নিলে
পড়ে থাকে আবছায়া দিন
তখনও বিমলিন রোদে
নদীজলে ডিঙা বায় একাকী পরাণমাঝি
অমিয় মেঘে ঢেকে যায় পূর্ণিমা চাঁদ
লালনমন বিষণœ করে বাজে বিরহের বাঁশি
কিশোরীখোঁপায় দোলে বিরহিনী ফাঁদ...

আলাউল হোসেন
প্রধান শিক্ষক
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।
-------------------------------------

একুশ মোদের
কাজী ফারহানা জাহান মিম
৫ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
কাশীনাথপুর, পাবনা।

একুশ মোদের মাথার মুকুট
একুশ মোদের গর্ব।
একুশের জন্য অনেকে দিয়েছে
বুকের তাজা রক্ত।
অনেকে দিয়েছে প্রাণ বিসর্জন
অনেকে খেয়েছে গুলি।
এরই জন্য আমরা সবাই
বাংলায় কথা বলি।
বাংলা মোদের অহংকর
বাংলা জন্মভূমি।
বাংলা মোদের মাতৃভাষা
ভুলবনা কোনদিনই।
-------------------------------------

আমার দেশ
কাজী মনিরা ফেরদৌস
সপ্তম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

সবচেয়ে আমার ভাল লাগে
প্রিয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি
ভাল লাগে মাতৃভূমি।
জন্মেছি এই দেশে
গর্ব আমার এই যে
সবচেয়ে আমার ভাল লাগে
প্রিয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের গান যে আমর করে দিশেহারা
তাই ভালবাসি আমার প্রিয় বাংলাদেশকে।
-------------------------------------

আমাদের দেশ
লুবনা বিনতে মো¯তফা
৫ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

আমাদের দেশ সব চেয়ে সেরা,
এ দেশে জন্ম নিয়ে ধন্য হয়েছি মোরা।
আমাদের দেশ স্বাধীন সেরা দেশ,
এ দেশেই যেন মোর মৃত্যু হয়।
সবুজ সেরা আমার এই দেশ,
শস্য শ্যামল এই আমাদের বাংলাদেশ।
-------------------------------------

আমার দেশের মাটি
তাওহীদ মাহমুদ উল্লাস
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

আমার দেশের মাটি ওভাই
সোনার চেয়েও খাঁটি।
এই মাটিতে জন্ম আমার
এই মাটিতে মরি।
আামার দেশের মাটির মত
আর কোন মাটি নেই,
এই কথাটি বলতে আমার
কোনই বাধা নেই।
এই মাটিতে বাস করি সবাই একসাথে।
এই মাটির জন্য জীবন দিতে
প্রস্তুত থাকব সবে।
-------------------------------------

দেশ
মোছা. খাইরুন নেছা (ছনিয়া)
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

আমার দেশের সুন্দর ধরণি
আমার দেশের সবুজ-শ্যামল
কান্তিতে জুড়ায় সবার হৃদয়
এই দেশেরই মাটিতে জন্মে
ধন্য আমার জীবন
আমার দেশের নদী, মাঠ-ঘাট,
সুন্দর পাখি সবুজ বন
আমার দেশের কৃষক ছেলে
মধুর বাঁশি বাজায় সুরে
সুজলা-সফলা, শস্য-শ্যামলা আমার দেশের প্রকৃতি।
-------------------------------------

আমার মা
মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাহ্মুদ (ফিরোজ)
অষ্টম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

বাংলাদেশ আমার মায়ের দেশ
আমি এই মায়ের দেশে জন্মেছি।
আমাদের মা তাঁর সন্তানের জন্য অনেক কষ্ট করে থাকেন।
আমার মায়ের মত আর কেউ নেই।
আমার মায়ের ভাষা বাংলা
তাই আমরা মায়ের মুখের ভাষার সাথে আমরা কথা বলি
মায়ের চেয়ে পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না।
এই মাটির সাথে মিশিয়ে আছে আমাদের মায়ের পরস।
আমাদের এই মায়ের ভাষার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি।
আমাদের মায়ের এই মধুর ভাষাকে আমাদের সম্মান করতে হবে।
আমার দেশের মাটি,
আমার মা সনোর চেয়ে খাঁটি।
-------------------------------------

আমার ইচ্ছেগুলি
সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি
দশম শ্রেণী
আল হেরা একাডেমী

আমার হতে ইচ্ছে করে নীল আকাশের তারা
ওই তারার মাঝে আমি বাঁধবো একটি বাসা
ওই বাসাতে থাকবো আমি হেসে-খেলে-দুলে
সারাদিন কাটবে আমার দুরন্তপনার ছলে
সকাল হলে উঠবো আমি রাতে যাবো ঘুমোতে
এই আমার ইচ্ছে, সফল হয় যেন জীবনে।
-------------------------------------

আমার ইচ্ছেগুলি
জান্নাতুল ফেরদৌস মিমি
দশম শ্রেণী
আল হেরা একাডেমী

ইচ্ছে করে পাখির মত পাখ ছাড়িয়ে উড়তে
ইচ্ছে করে বৃষ্টির মত আকাশ থেকে পরতে
ইচ্ছে করে শিশির হয়ে গাছের পাতা ঝরতে
ইচ্ছে করে সোনালী রোদের মত হাসতে
ইচ্ছে করে মনের মত খেলাধুলা করতে
ইচ্ছে করে পরীর মত সোনার দেশে ঘুরতে
ইচ্ছে করে মনের মাঝে ইচ্ছে আছে কত
জানি আমি ইচ্ছে আমার পুরণ হবে না তো।
-------------------------------------

সকাল বেলা
মোছা. ফারিহা জাহান লিমা
দশম শ্রেণী
কাশীনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়

সকাল বেলা উঠে দেখি রোদ ঝলমল
মাঠ দিয়ে হেঁটে দেখি শিশির টলমল।
দুপুর বেলা দেখি আমি খাঁ খাঁ রোদের খেলা
বিকেল হলে দেখি কত শত মেঘেরও ভেলা
সন্ধ্যা হলে দেখি কত কান্ত পাখি
রাত হলে দেখি সবার বন্ধ যে আঁখি
গভীর রাতে দেখি কত জোৎস্না তারার মেলা
এসব কথা ভাবতে গেলে কেটে যায় যে বেলা।
-------------------------------------

গ্রামের ছড়া
মো. রূপম খান
৭ম শ্রেণী
স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

ছায়া ঘেরা গ্রামের তৃণলতা
ভাল লাগে না তোমার সেকি কথা
গ্রামের সুন্দর বৃরে ছায়া।
দেখে তোমার মনে আসবে মায়া।
দেখবে তুমি সুন্দর দিঘি ও নদী নালা।
দেখবে তুমি সুন্দর দিঘি ও নদী নালা।
চোখে পড়বে খেটে খাওয়া মানুষ আর গাছপালা
আমার গায়ের ছোট নদী
তোমার মন ভরে যাবে দেখে নদী
পায়ের নিচে পড়ে সবুজ নরম ঘাস
প্রার্থনা মোর থেকো ভাল
এটাই যে আমার আশার আলো।
-------------------------------------

কাশিনাথপুরে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ উদযাপিত

গত ৩ এপ্রিল বিকেল ৪ টায় পাবনা জেলার কাশীনাথপুরস্থ শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল সোস্যাইটি ও স্কাইলার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের যৌথ উদ্যোগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ১০০ ঘণ্টা (আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ ২০০৯ উদযাপনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প) উদযাপিত হয়। এ উপলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এফ. আর সরকার (শূন্য অভিকর্ষ ত্বরণে অভিজ্ঞতা অর্জনকারী একমাত্র বাংলাদেশি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আলী আজগর, কৃষি বিজ্ঞানী ড. ফরিদা বেগম ও হাসিনা রহমান সরকার।

ঐ দিন বিকেল ৪ টা থেকে শুরু হয় ওয়াটার রকেট উৎপেণ, চিত্র প্রদর্শন, প্রশ্নোত্তর পর্ব, আলোচনা সভা । প্রশ্নোত্তর পর্বে শিার্থীদের আকাশ সম্পর্কিত মজার মজার প্রশ্নের জবাব দেন ড. আলী আজগর ও এফ. আর সরকার। সন্ধ্যার পরে টেলিস্কোপের সাহায্যে উপস্থিত দর্শকদের আকাশ পর্যবেণ করানো হয় এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিার্থী ও কৌতুহলী জনতা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ওয়াটার রকেট উৎপেণসহ আকাশ পর্যবেণ করেন।

উল্লেখ্য, ১৬০৯ সালে ইতালীর প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালেলিও গ্যালিলি কর্তৃক টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্ব পর্যবেণের ৪০০ বছর পূর্তি উপলে ও সারা বিশ্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার ল্েয জাতিসংঘ ২০০৯ সনকে ‘আন্তর্জাতিক জ্যোতিবিজ্ঞান বর্ষ’০৯ হিসেবে ঘোষণা করেন। জাতিসংঘের শিা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ ‘টঘঊঝঈঙ’ ও ‘আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা’ যৌথভাবে এটি বর্ষব্যাপী উদ্যাপনের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই উদ্যাপনের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘মহাবিশ্ব আপনার আবিষ্কারের জন্য’। বিশ্বের প্রায় ১৩৬টি রাষ্ট্র ও ৩২টি আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংগঠন এই উদ্যাপনে সদস্য হয়েছ, এছাড়া উদ্যাপন কার্যক্রমকে আরো ফলপ্রসূ করতে ১১টি মহাকাশ সংগঠনের নিজস্ব প্রকল্প, ১১টি টাস্ক গ্র“প ও ৬টি বিশেষ প্রকল্প পুরো জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ উদ্যাপনের সাথে সহায়ক কার্যক্রম হিসেবে কাজ করছে।

0 comments:

Post a Comment